মেধস মুনির আশ্রম, চট্টগ্রাম

মেধস মুনির আশ্রম
এই হলো সেই চট্টগ্রামের "মেধস মুনির আশ্রম

সকালে এক ভাইয়ার রিভিউ দেখে বেরিয়ে পড়লাম। ভাইয়াটাকে অনেক পেইন দিছিলাম বাট যাওয়াটা আসলেই সার্থক হলো। জায়গা নিয়ে কিছু বলার নেই আর। শহরের কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে নিজেকে রিফ্রেশ করে আনার জন্য পারফেক্ট একটা জায়গা। সাথে দেখবেন দূরের পাহাড়ের মেঘের খেলা পাহাড়ের পাড় ঘেঁষে যেনো মেঘ ছুঁয়ে আছে। এছাড়াও মন্দির তো আছে। যাওয়ার পথের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো আরো মনোরম। এক কথায় শর্টকাটে রিফ্রেশ এর জন্য এর থেকে ভালো এবং কাছের জায়গা খুব কম পাওয়া যাবে।

শুধুমাত্র এই মন্দিরটিই এখানের মূল আর্কষন নয়, এখানে রয়েছে পাহাড়,পাহাড়ি ছড়া,বিখ্যাত শাহ বোয়ালীকলন্দর শাহ এর মাজার শরীফ,রবার বাগান। চট্টগ্রামবাসীদের জন্য খুব কাছেই একটি এডভেঞ্চার করার মতো জায়গা।

পাহাড়ের চূড়ায় এই আশ্রমের অবস্থান। আশ্রমের প্রধান ফটক দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার গেলে ওপরে ওঠার সিঁড়ি। প্রায় ১৪০টি সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠলে মেধস মুনির মন্দির চোখে পড়বে। এই মন্দিরের পরই দেবী চণ্ডীর মূল মন্দির। এর একপাশে সীতার পুকুর, পেছনে রয়েছে ঝরনা। মন্দিরের পেছনে সাধু সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য রয়েছে দোতলা ভবন।

মেধস মুনির আশ্রম
প্রায় ৬৮ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত এই মন্দিরে প্রতিবছর মহালয়ার মাধ্যমে দেবী পক্ষের সূচনা হয়। দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানাতে এখানে প্রতি বছর দুর্গা পুজা হয়। সেদিন শত শত পুণ্যার্থীর পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে এ আশ্রম।

পুরাকালের এই আশ্রমের কথা শাস্ত্রে লিপিবদ্ধ থাকলেও সাধারণ্যে তার প্রকাশ বা প্রচার ছিল না। ১১৩ বছর আগে দৈববলে পাহাড়-পর্বত পরিভ্রমণ বেদানন্দ স্বামী এই তীর্থভূমি আবিষ্কার করেন। একসময় জঙ্গল পার হয়ে আশ্রমে আসতে হতো। তবে বর্তমান আশ্রমটির বিভিন্ন স্থাপনা ভক্ত–অনুরাগীদের অনুদানে গড়ে উঠেছে।

যেভাবে যাবেন : 

বহদ্দারহাট টার্মিনালের অপোজিটে কিছু টেম্পু দেখবেন ওদের জিজ্ঞেস করবেন কানুনগাপাড়া যাবে নাকি তারপর উঠে পরবেন,জনপ্রতি ভাড়া নিবে ২৫ করে। 

কানুনগাপাড়া থেকে লোকাল সিনজি কিংবা রিজার্ভে আশ্রম চলে যাবেন। লোকালে গেলে একজন ৩০ করে নিবে আর রিজার্ভ ২০০ মতো চাইবে। এক্ষএে আসলে লোকালটাই বেটার। 

ব্যাস আশ্রম গিয়ে পুরোটা নিজেদের মতোই ঘুরে নিবেন। সময় খুবই কম লাগে। 
আমরা রওনা দিয়েছিলাম ১.৩০ এ এবং ২.১৫ তে গিয়ে পৌঁছায় এবং ৪.০০ টার মধ্যে আবার ব্যাক করে ৫.০০ টার মধ্যেই চলে আসি। যাওয়ার পথে কালুরঘাট ব্রীজ এর সৌন্দর্যতো আছেই 

সবাই চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। 

সৌজন্যে Sadia Chowdhury


========================================================================

মন্তব্য অথবা কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।

পাহাড়ের চূড়ায় এই আশ্রমের অবস্থান। আশ্রমের প্রধান ফটক দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার গেলে ওপরে ওঠার সিঁড়ি। প্রায় ১৪০টি সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠলে মেধস মুনির মন্দির চোখে পড়বে। এই মন্দিরের পরই দেবী চণ্ডীর মূল মন্দির। এর একপাশে সীতার পুকুর, পেছনে রয়েছে ঝরনা। মন্দিরের পেছনে সাধু সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য রয়েছে দোতলা ভবন।

Post a Comment

  1. ভাইয়া মন্দিরের কোন নাম্বার আছে

    ReplyDelete
    Replies
    1. না... কোন নাম্বার সংগ্রহে নেই... ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য...

      Delete

[blogger]

Author Name

{picture#https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1196479430442738} YOUR_PROFILE_DESCRIPTION {facebook#https://www.facebook.com/alwasikbillah} {twitter#https://twitter.com/awasikb} {google#https://plus.google.com/112469283873821392454} {instagram#https://www.instagram.com/awasikb}

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.